শহিদুল ইসলাম।
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অপহরণের পরে মুক্তিপণের জন্য মাটির গর্তে পুঁতে রাখা রোহিঙ্গা
শিশু মো. আরাকান এখন খেলাধুলা ও পড়াশোনা করছেন। তবে কিছুটা আতঙ্কিত বলে পরিবার জানান।
জানা গেছে, এ ঘটনায় জড়িত দু’জনকে পুলিশ আটক করেছেন। তারা হলেন- উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ ব্লকের মৃত নুরুল হকের ছেলে নুর ইসলাম ও মো. সালাম।
শিশু মো. আরাকান উখিয়ার থাইংখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১৯ এর আব্দুর রহমানের ছেলে।
শিশুর পিতা আব্দুর রহমান বলেন, গত ৮ জানুয়ারি আমার ছেলে মো. আরাকান খেলা করার সময় অপহরণ কারীরা নাস্তা দেওয়ার কথা বলে সিএনজি অটোরিকশা যোগে তাকে তোলে নিয়ে যান।এরপর থেকে অপহরণ কারীরা মুক্তি পণের টাকার জন্য আমাকে বার বার ফোন করে চাপ সৃষ্টি করেন।
এক পর্যায়ে শিশু মো. আরাকানকে মার্টির গর্তে পুঁতে রেখে ভিডিও ধারণা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ আমার কাছে পাঠান।আমি তা সহ্য করতে না পেরে বহু চেষ্টা ও ধারদেনা করে
২ লাখ ১০ হাজার টাকা মুক্তি পণ দিলে ৮ দিন পরে তারা আমার ছেলেকে ছেড়ে দেন। এখন সেই স্বাভাবিক ভাবে বাড়িতে আছেন,এবং খেলাধুলা ও পড়াশোনাও করে, তবে
রাত হলে কিছুটা ভয় করে বলে জানান,এবং ভয়ে ঘুমের মধ্যে চমকে উঠে। আরাকান ফিরে আসার পরে অপহরণ কারীরা এক-দুই বার হুমকি দিয়েছিলো। তবে এখন আর দিচ্ছে না।তবুও আতঙ্কে থাকি।এপিবিএন ও থানা পুলিশের সদস্যরা দুইজন অপহরণ কারীকে আটক করেছেন।
তবে মো. আরাকানকে মাটির গর্তে পুতে রাখা ভিডিও টা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়াতে ব্যাপক প্রচার হয়েছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. আরিফ হোসেন বলেন,উখিয়া থাইংখালি ১৯ নম্বর ক্যাম্পের রোহিঙ্গা শিশু আরাকান অপহরণের ঘটনা টা যখন আমাদের নজরে আসে, থাকে উদ্ধারে পুলিশ কাজ শুরু করেছিলো।সে বাড়িতে ফিরে আসার পরে তাকে অপহরণের সঙ্গে জড়িত দুইজনকে আটক করেছি। শিশু আরাকানের
সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। এটার সঙ্গে আরো যারা জড়িত তাদেরকেও আটকে চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ১৫ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, শিশুটির চোখেমুখে ভয়। গলা পর্যন্ত মাটিতে ডুবে আছে। চাপা দেওয়া হয়েছে শরীরের ওই অংশ। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা ভাষায় শিশুটি তার বাবার উদ্দেশে বলছিল, আব্বা তরাতরি চেষ্টা গর। মরে গাতত গলায় পিল্লে। টিয়া দে।বাবা দ্রুত চেষ্টা করো, আমাকে গর্তে পুঁতে ফেলেছে, টাকা দাও।
পাঠকের মতামত